Saidur Trainer 2 years ago |
পালং শাকে রয়েছে নানাবিধ পুষ্টিগুণ। যা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ, ক্যান্সারে উপসর্গ প্রতিরোধ করাসহ নানা উপকার করে থাকে। এছাড়াও রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ, পেশির ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং হার্ট এটাকের মতো ব্যাধি থেকেও শরীরকে রক্ষা করে। নিয়মিত ১০০ গ্রাম করে সেদ্ধ পালং শাক অথবা এক গ্লাস পালং শাকের রস খাওয়া শুরু করলে শরীরে ডায়াটারি ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে বহুক্ষণ পেট ভরা থাকে। আর এমনটা হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। আর কম পরিমাণে খাওয়ার কারণে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থাকায় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। ফলে ত্বক পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। স্কিন ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে থাকতে বাধ্য হয়। এ শাকে উপস্থিত ফ্লেবোনয়েড শরীরে ক্যান্সার জন্ম নিতে বাধা দেয়। ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। ফলে এই মরণ রোগটি শরীরে ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জ্যাস্থিন থাকায় এটি রেটিনার ক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, এই শাকটিতে উপস্থিত ভিটামিন এ আই আলসার এবং ড্রাই আইয়ের মতো সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অতিরিক্ত চুল পড়া কমায়। শাকটিতে উপস্থিত আয়রন, হেয়ার ফলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি দেহের ভেতরে লোহিত রক্ত কণিকার ঘাটতি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে পালং শাকের রস বানিয়ে ভাল করে চুলে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে দিতে হবে। পটাশিয়াম, ফলেট এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই শাকটি যদি প্রতিদিন খাওয়া যায়, তাহলে মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশ এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে পটাশিয়ামের কারণে মনোযোগ ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে পালং শাকে উপস্থিত ভিটামিন কে এবং ফলেট ত্বককে ফর্সা করার পাশাপাশি ডার্ক সার্কেলকে দূর করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এতে খনিজ পদার্থটি বেশি থাকায় ভারসাম্য ফিরে আসে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। পেশির ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
Alert message goes here